এক পাশে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত আর অন্য পাশে সবুজ পাহাড়ের সারির মধ্য দিয়ে চলে গেছে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক। সড়কের ডানপাশে আছড়ে পড়া সমুদ্রের ঢেউ আর বাম পাশে সবুজ অরণ্য দেখে বিমোহিত হয়ে মাত্র দেড় ঘন্টায় কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পৌঁছানোর সুযোগ হাতছানি দিয়ে ডাকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের।
পর্যটন খাতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতির লাইফলাইনে পরিণত হওয়া এই ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভের বাস্তব অবস্থা গল্পের এই ছবির মত এতটা মসৃণ নয়।
সিকি শতাব্দী সময়ে কয়েক ধাপে গড়ে তুলা এই সড়কের বিভিন্ন যায়গায় শুরু থেকেই রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি বিচ্যুতি। এক লেনের বেইলি সেতুর কারণে সড়কের বিভিন্ন যায়গায় সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। কয়েকটি সেতু পার হওয়ার সময় গাড়ির তলা ঠেকে যায়। আর বিভিন্ন যায়গায় ঝুকিপূর্ণ বাকের কারণে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। সমুদ্রের ঢেউ, জলোচ্ছ্বাসসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে কিছু যায়গায় সড়কটির অস্তিত্বই এখন ঝুঁকির মধ্যে।
এ অবস্থায় প্রশস্ততা বৃদ্ধি, নতুন সেতু নির্মাণের পাশাপাশি নির্মাণকালীন বিভিন্ন ত্রুটি সংশোধন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মেরিন ড্রাইভ সড়কের সুরক্ষা নিশ্চিত করে কক্সবাজার ও টেকনাফের মধ্যে নিরাপদ সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায় সরকার।
এরই অংশ হিসেবে প্রথম দফায় ৩২ কিলোমিটার সড়কের মান উন্নত করতে ১০২১.৬১ কোটি টাকা ব্যয় ধরে “কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক প্রশস্তকরণ” শীর্ষক একটি প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ।
এ প্রস্তাবের ওপর পরিকল্পনা কমিশনের আয়োজন করা “প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির” (পিইসি) সভায় বেশ কিছু সুপারিশ পরিপালন সাপেক্ষে প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) পুনর্গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে।
সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে পুনর্গঠিত ডিপিপি পরিকল্পনা কমিশনে আসলে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন আল রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পিইসি সভায় প্রকল্পে বিদেশ সফর, সড়ক জরিপ, পরামর্শক নিয়োগ, মাটি ভরাট, জিও টেক্সটাইল, সিসি ব্লকসহ বিভিন্ন খাতের বরাদ্দ পর্যালোচনা করা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে ১.১০ কোটি টাকা ব্যয়ের বিদেশ সফর বাতিল এবং অন্যান্য খাতে বরাদ্দ কমিয়ে আনা বা প্রস্তাবিত বরাদ্দের যৌক্তিকতা তুলে ধরার সুপারিশ করা হয় সভায়।
একনেকের অনুমোদন পেলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
পিইসি সভায় সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশান ব্রিগেডের (ইসিবি) পক্ষ থেকে একটি উপস্থাপনায় বলা হয়, কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কটি আন্ত:জেলা সংযোগের পাশাপাশি সমুদ্র পাড়ে পর্যটন বিকাশে অবদান রাখছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজারের সঙ্গে ইন্নী, শিলখালী এবং টেকনাফ সংযুক্ত হওয়ায় পর্যটকদের যাতায়ত উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
তবে মেরিন ড্রাইভের প্রথম ৩২ কিলোমিটারের প্রশস্ততা মাত্র ৩.৭ মিটার যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। সড়কের এ অংশে পর্যটকদের চলাচল অনেক বেশি হওয়ায় ছুটির দিনগুলোতে যানযটের সৃষ্টি হয়। তা ছাড়া অপ্রশস্ততার কারণে সড়কের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হচ্ছে। এ সব কারণে সড়কটির ১.৬ কিরোমিটার থেকে ৩২ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রশস্ততা বাড়ানো দরকার।
প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়, সড়কের রেজুখালের ওপর নির্মিত বিদ্যমান বেইলি সড়কটি এক লেনের হওয়ায় যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হয়। অনেক সময় সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। তা ছাড়া এ অঞ্চলের প্রায় ৬ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ সমুদ্র থেকে অনেক দূরে হওয়ায় সৌন্দর্য অবলোকন করতে পর্যটকদের সমস্যা হয়।
উপস্থাপনায় আরও বলা হয়, ২০১৭ সালের মে মাসে মেরিন ড্রাইভ উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেজুলাল এলাকায় একটি দৃষ্টিনন্দন সেতু নির্মাণের নির্দেশনা দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্পের প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়েছে, ৩.৭ মিটার প্রশস্ত সড়কটির দুই পাশে ০.৯ মিটার করে হার্ডশোল্ডার যোগ করলে প্রশস্ততা দাঁড়ায় ৫.৫ মিটার। নতুন করে প্রকল্পটির আওতায় দুই পাশে ০.৯ মিটার করে বাড়ানো হবে সড়কটি। এর ফলে মেরিন ড্রাইভের প্রশস্ততা হবে ৭.৩ মিটার।
তিন দশক আগের উদ্যোগ
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন নথি পর্যালোচনা করে জানা যায়, আর্থ-সামাজিক ও সামরিক কৌশলগত উন্নয়ন এবং পর্যটন শিল্পের দ্রুত বিকাশের লক্ষ্যে ১৯৯৩ সালে কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করে সেনাবাহিনীর ইসিবি। পরের বছরের জুলাইয়ে এই কাজ সওজের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পরবর্তীতে সওজ ও ইসিবির সমন্বয়ে সড়কটির কাজ করতে ২০০০ সালে একনেকে প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে প্রয়োজনীয় ১৪৮.৫১ কোটি টাকার সংস্থান না হওয়ায় ২০০৪-০৫ অর্থবছরে তিনটি পর্যায়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়।
প্রথম পর্যায়ে কলাতলী থেকে ইনানী পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ করতে ব্যয় করা হয় ৯৩.৭৭ কোটি টাকা। ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে শুরু করে নির্ধারিত সময়, ২০০৮ সালের জুনে এ অংশের কাজ শেষ করা হয়।
২০১২-১৩ অর্থবছরের মধ্যে ইনানী থেকে শিলখালী পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করতে ২০০৮ সালের ২৫ এপ্রিলে অনুমোদন দেওয়া প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১৫৫.৭৬.৪১ কোটি টাকা। ৪৭৪.৬৮ কোটি টাকা ব্যয় করে দ্বিতীয় দফার কাজ শেষ হয় ২০১৬ সালের জুনে। এ দফায় ৩১৮.৯২ কোটি টাকা বাড়তি ব্যয়ের পাশাপাশি সময় লাগে তিন বছর বেশি।
সর্বশেষ ২০৩.০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে শিলখালী থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার সড়কের কাজ শেষ হয় ২০১৮ সালের জুনে। তিন দফায় পুরো আশি কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ করতে ব্যয় হয় ৭৭১.৫১ কোটি টাকা।
যে সুফল এনেছে মেরিন ড্রাইভ
পুরো মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ শেষ হলে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রকল্পটির ইমপ্যাক্ট ইভ্যালুয়েশন করে তৈরি করা এক প্রতিবেদনে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ জানায়, সড়কটিতে যানবাহন চলাচলের পরিমাণ বছরে ১০৪ শতাংশ হারে বেড়েছে। এ প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০১৭ সালে এ সড়কে প্রতিদিন ৩,১৭৩ পরিবহণ চলাচল করলেও ২০১৯ সালে তিনগুণ বেড়ে এ সংখ্যা ৯,৭৭০টিতে উন্নীত হয়েছে।
পর্যটক আকর্ষণের কারণে এ এলাকায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ট্যুরিজম পার্ক ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির কারণে এ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আয়ও বেড়েছে বলে জানিয়েছে আইএমইডি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সড়ক নির্মাণের কারণে কক্সবাজার থেকে টেকনাফে যাতায়াতে সময় দেড় ঘন্টা বা ৫০ শতাংশ কমেছে। এর ফলে কক্সবাজারে পর্যটক বেড়েছে কয়েকগুণ। হ্যাচারি থেকে চিংড়ির পোনা পরিবহণের সুযোগ হওয়ায় সারা দেশে চিংড়ি উৎপাদন করে বিদেশি মুদ্রা আহরণ বেড়েছে। চাষের জমি জলোচ্ছ্বাস ও লবণাক্ততা থেকে রক্ষা পাওয়ায় কৃষির উৎপাদনশীলতা বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্প এলাকায় মাসে ১০ হাজার টাকা বা এর বেশি আয় করা মানুষের সংখ্যা পাশ্ববর্তী এলাকার তুলনায় ২১ শতাংশ বেড়েছে। বেকারত্বের হার আগের ১৭ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ১৩ শতাংশে। এ সড়কের কারণে পর্যটন ও নির্মাণ খাতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকার ৪৩ শতাংশ মানুষ মনে করছেন।
যে ত্রুটি পেয়েছিল আইএমইডি
কলাতলী বিচ থেকে বেইলী হ্যাচারি পর্যন্ত সড়ক মেরিন ড্রাইভ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার বিষয়টিকে সবচেয়ে বড় ত্রুটি হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইএমইডি। এর ফলে কক্সবাজার থেকে মেরিন ড্রাইভে বড় যানবাহন যেতে পারছে না।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, এ সড়কের ১৮তম কিরোমিটারে এক লেনের রেজুখালে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয়। এই রেজু খালের আগে ও পরের দুইটি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
৩২তম কিরোমিটারে এস কার্ভে নির্মিত কালভার্টেও প্রায়শ দুর্ঘটনা হচ্ছে। এই কালভার্ট ও রেজুখালে এপ্রোচসহ সেতু নির্মাণ এবং বিপদজনক বাঁকগুলো সরলীকরণের সুপারিশ করেছিল আইএমইডি।
আরও কয়েকটি সেতু ও কালভার্ট পরিদর্শণ করে আইএমইডি জানায়, ২৭তম কিলোমিটারসহ কয়েকটি কালভার্টে চ্যানেলের তুলনায় কম স্প্যান নির্মাণ করা হয়েছে।
পর্যবেক্ষণ করা সাতটি কালভার্টের মধ্যে মাত্র তিনটির কাঠামোগত অবস্থান ভালো। একটি কালভার্টের এপ্রোচে যানবাহন খাক্কা খায়। দুইটি কালভার্টের স্প্যান চ্যানেলের প্রশস্ততার তুলনায় কম। একটি সেতুর উভয় এপ্রোচে রক্ষাপ্রদ কাজ অপর্যাপ্ত।
যে কারণে ঝুকিতে রয়েছে সড়কটি
নির্মাণের মাত্র দুই বছরের মধ্যেই সড়কের শোল্ডারে এবং ঢালে রেইনকাটের সৃষ্টি হয়েছিল বলে জানিয়েছে আইএমইডি। ২৮তম কিলোমিটারে পাথররানী এলাকায় সড়কের অবস্থান সমুদ্রের অতি সন্নিকটে হওয়ায় সড়কটি ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের পিইসি সভায় সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিরা জানান, মেরিন ড্রাইভের কয়েকটি স্থানে প্রায় ৯ কিলোমিটার সড়কে সমুদ্রের ঢেউয়ে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এরফলে সম্পূর্ণ সড়কটিই ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছে।
এ বিষয়ে সওজের চট্টগ্রাম জোনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বলেন, “আমি নিজে সড়কটি সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। ভাঙ্গন থেকে সড়কটি রক্ষায় এখনই উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন। অন্যথায় অচিরেই সড়কটির অনেকাংশ সমুদ্রে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।”
বিভিন্ন খাতে বাড়তি ব্যয়
৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ নির্মাণে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে, ৩২ কিলোমিটার সড়কের প্রশস্ততা বাড়াতে এর ১৩২ শতাংশ অর্থ ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ অবস্থায় বিদেশ সফর, জরিপ, পরামর্শক, ভূমি অধিগ্রহণ, মাটি ভরাট, জিও টেক্সটাইল, সিসি ব্লকসহ বিভিন্ন খাতের প্রস্তাবিত বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিকল্পনা কমিশন।
১২৩ একর জমি অধিগ্রহণে ৫২৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা মোট প্রকল্পের ৫১ শতাংশের বেশি। অধিগ্রহণ প্রস্তাবের জমির মধ্যে খাস জমি আছে কিনা বা প্রকৃতপক্ষেই জমি অধিগ্রহণ করার প্রয়োজন আছে কিনা তা যাচাই করতে সরেজমিন পরিদর্শনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে সভায়।
আগে সড়ক নির্মাণের সময় অধিগ্রহণ করা জমির বিষয়ে সভায় প্রশ্ন উঠলে বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে চার লেনের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে দুই পাশেই ১০০ ফুট জমি অধিগ্রহণ করা হবে।
বাঁধ নির্মাণে ৭.১৪ লাখ ঘনমিটার মাটি ভরাটের প্রয়োজনীয়তা ও এ খাতে ২৮.৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সভায় এর ভিত্তি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।
সড়কে বিদ্যমান বিভিন্ন সেবা স্থানান্তরে ৯.৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব নিয়েও আরোচনা হয় সভায়। একটি জরিপের মাধ্যমে এ খাতে কাজের পরিমাণ ও ব্যয় পুননির্ধারণেরও সিদ্ধান্ত হয় সভায়।
একইভাবে জিও টেক্সটাইল খাতে ২৮.৩৫ কোটি, ৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে রিটেইনিং ওয়াল এবং টেট্রাপড নির্মাণে ৬৪.৮০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাবও যৌক্তিকভাবে কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয় সভায়।
জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মামুন আল রশীদ বলেন, কক্সবাজারের পর্যটন ও কৃষিনির্ভর অর্থনীতির উন্নয়নে মেরিন ড্রাইভ সড়কটি ব্যাপক সম্ভাবনা জাগিয়েছে। এ সম্ভাবনা কাজে লাগতে হলে সড়কটি রক্ষা করতে হবে। তাছাড়া নির্মাণের সময় থেকেই এ অবকাঠামোতে কিছু গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। সময়ের চাহিদার প্রেক্ষিতে এ সব ত্রুটি দূর করার পাশাপাশি সড়কটির প্রশস্ততা বাড়নো দরকার।
তিনি বলেন, প্রকল্পের খাতে বাড়তি ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে বলে পিইসি সভায় মনে হয়েছে। এ সব ত্রুটি বিচ্যুতি দূর করে ডিপিপি সংশোধনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
পাঠকের মতামত